লেবুজাতীয় ফলের মধ্যে বাংলাদেশে কমলা সবচেয়ে জনপ্রিয়, সুগন্ধী ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল । বালাদেশের সিলেট মৌলভীবাজার ও পার্বত্য জেলাসমুহে কমলা ভালো জন্মে । পোকা-মাকড়ের আক্রমনে প্রতি বছর একটা বড় অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । নিচে কমলার যত পোকামাকড় ও তার দমন ব্যবস্থা দেখানো হলো :
পাতা ছিদ্রকারী পোকা (লিফ মাইনর):
সাদা পোকা কচি পাতায় নিম্ন তলে আকা-বাকা দাগের সৃষ্টি করে । এর আক্রমনে পাতা কুকড়ে যায় ফলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে ।
প্রতিকার
পোকা দমনের জন্য ১০ মিলি মেটাসিসটক্স ১০ লিটার পানিতে অথবা ডায়জিনন ৬০ ইসি প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৪ চা চামচ মিশিয়ে স্প্রে করে গাছের পাতা ভিজিয়ে দিতে হবে ।
বাকল ছিদ্রকারী পোকা (বার্ক বোরার):
পোকা গাছের বাকলে ঢুকে খেতে থাকে এবং আক্রান্ত বাকল শুকিয়ে ডাল বা কান্ড মারা যায় ।
প্রতিকার
রিপকর্ড ১০ ইসি কীটনাশক ১০ লিটার পানিতে ১০ মিলি বা ২ চা চামচ মিশিয়ে স্প্রে করে পোকা দমন করা যায় ।
কান্ড ছিদ্রকারী পোকা (ট্রাংক বোরার):
পোকা গাছের কান্ড বা ডাল ছিদ্র করে ভিতরে খেয়ে গাছ দুর্বল করে ফেলে । আক্রমন বেশি হলে ডাল বা কান্ড শুকিয়ে মারা যায় ।
প্রতিকার
পোকা দমন পদ্ধতি বাকল ছিদ্রকারি পোকার অনুরুপ ।
কমলা গান্ধী (অরেঞ্জ বাগ):
ফলের গায়ে ছিদ্র করে রস চুষে খায় । মধ্য-ভাদ্র থেকে মধ্য-কার্তিক (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) মাসে যখন ফল পুরু রসালো হয় তখন এ পোকার উপদ্রব শুরু হয় । এতে ছিদ্রস্থান কয়েকদিন পর হলদে হয়ে ফল ঝরে যায় ।
প্রতিকার
ম্যালাথিয়ন ০.০৪ % অথবাসুমিথিয়ন ৫০ ইসি ১০ লিটার পানিতে ৫ চা চামচ মিশিয়ে স্প্রে করলে এ পোকা দমন হয় ।
0 responses on "জেনে নিন কমলার যত পোকা-মাকড়ের আক্রমন ও তার প্রতিকার"